ঢাকা, ২ নভেম্বর (ঢাকা পোস্ট) : শেষ হয়ে গেল বর্তমান সরকারের বা একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন। জাতীয় নির্বাচনের আগে একাদশ সংসদের আর কোনও অধিবেশন বসবে না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে বসবে পরবর্তী অধিবেশন।
একাদশ সংসদে সংখ্যার দিক থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক অধিবেশন, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত অধিবেশন, একক অধিবেশনে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিল পাস, কম সময়ের মধ্যে সবগুলো সংসদীয় কমিটি গঠনসহ নানা রেকর্ড হয়েছে চলতি সংসদে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে দেখা গেছে এবারের সংসদে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাতে রাষ্ট্রপতির সমাপনী ঘোষণা পাঠের মধ্য দিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সমাপ্তি টানেন। এর আগে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ সমাপনী বক্তব্য দেন।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে একাদশ জাতীয় সংসদ। এ হিসেবে চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৯ জানুয়ারি। সংসদের মেয়াদ আরও তিন মাসের মতো থাকলেও অধিবেশন আর বসছে না। সংবিধান অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে সংসদের অধিবেশন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে সংসদ নির্বাচনের স্বার্থে মেয়াদের শেষ ৯০দিনের মধ্যে এই বিধানটি সংবিধানেই শিথিল করা হয়েছে। গত ১ নভেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৯০ দিনের কাউন্ট-ডাউন্ট শুরু হয়েছে।
সংসদ অধিবেশনের রেকর্ড
সংসদ অধিবেশনের সংখ্যার দিক থেকে চলতি সংসদ রেকর্ড করেছে। গত ৪ বছর ৯ মাসে একাদশ সংসদের ২৫টি অধিবেশন হয়েছে। এর আগে সপ্তম, অষ্টম ও দশম সংসদে সর্বোচ্চ ২৩টি করে অধিবেশন হয়েছিল। এছাড়া নবম সংসদে ১৯টি ও পঞ্চম সংসদে ২২টি অধিবেশন হয়। ৬ষ্ঠ সংসদ শেষ হয় মাত্র একটি অধিবেশনের মধ্য দিয়ে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটের মাধ্যমে গঠিত ওই অধিবেশনে আলোচিত ও বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস হয়েছিল। অবশ্য পরে উচ্চ আদালতের আদেশে ওই ব্যবস্থা বাতিল হয়।
সংক্ষিপ্ত অধিবেশন
চলতি একাদশ সংসদ সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত অধিবেশনের রেকর্ড করেছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকটের সময় একদিনে মাত্র দেড় ঘণ্টার বৈঠকের মাধ্যমে সংসদের একটি বৈঠক শেষ হয়। ২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল চলতি সংসদের ৭ম অধিবেশন শুরুর পর তা দেড় ঘণ্টা স্থায়ী হয়। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এ অধিবেশন অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয়।
ওই বছর (২০২০) অনুষ্ঠিত সংসদের বাজেট (২০২০-২১ অর্থবছরের) অধিবেশনও ছিলো দেশের ইতিহাসে সংক্ষিপ্ততম বাজেট অধিবেশন। ৯ কার্যদিবসের ওই অধিবেশনের দুটি কার্যদিবস শেষ হয়েছিল শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করে। ওই বছর মূল বাজেটের ওপর দুদিন ও সম্পূরক বাজেটের ওপর একদিন আলোচনা হয়েছিল। স্বাভাবিক সময় বাজেটের ওপর গড়ে ৪০ ঘণ্টার মতো আলোচনা হলেও ওই বছর হয়েছিল মাত্র ৫ ঘণ্টা ১৮ মিনিট।
বিশেষ অধিবেশন
দেশের ইতিহাসে প্রথম বিশেষ অধিবেশন দেখা গেছে একাদশ জাতীয় সংসদে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষ্যে দেশের ইতিহাসে প্রথম বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। আরেকটি বিশেষ অধিবেশন হয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে।
২০২০ সালের ৮ নভেম্বর বসে প্রথম বিশেষ অধিবেশন। অধিবেশনটি ওই বছর মার্চে হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে পিছিয়ে নভেম্বরের নেওয়া হয়। এতে বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক নিয়ে ভাষণ দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংসদ সদস্যরাও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাতে অধিবেশনে একটি সাধারণ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
পরে জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে এ বছর এপ্রিলে বসে আরেকটি বিশেষ অধিবেশন। ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেই দিনটি উপলক্ষ্যে গত ৬ এপ্রিল থেকে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ৭ এপ্রিল জাতীয় সংসদে স্মারক বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। পরে ওই দিন জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ১৪৭ বিধিতে প্রস্তাব তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ওপর ৬৩ জন সংসদ-সদস্য মোট ১০ ঘণ্টা ২৩ মিনিট আলোচনায় অংশ নেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার আনা প্রস্তাব (সাধারণ) সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
কমিটি গঠনে রেকর্ড
কম সময়ের মধ্যে সবগুলো কমিটি গঠন করে এবারের সংসদ রেকর্ড করেছে। চলতি সংসদের প্রথম অধিবেশনে মাত্র ১০ কার্যদিবসে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদের ৫০ কমিটি গঠনের রেকর্ড হয়। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৫০ বছরের ইতিহাসে এর আগে কোনো সংসদ এত দ্রুত কমিটি গঠন করতে পারেনি। আর এবারই সবগুলো নিজ হাতে লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের পথচলার পর ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সংসদীয় কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়। ১০ কার্যদিবসে তিনি নিজ হাতে অধিবেশন কক্ষে বসে সভাপতি ও সদস্যদের নাম লেখেন। কমিটি গঠনে প্রধানমন্ত্রীর নিজের হাতে লেখা কাগজগুলো সংসদের মহামূল্যবান দলিল হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সংসদের প্রথম অধিবেশনে মাত্র ১০ কার্যদিবসে সবগুলো কমিটি গঠন একটি অনন্য দৃষ্টান্ত ও মাইলফলক বলে মন্তব্য করেন স্পিকার। এর আগে কখনোই প্রথম অধিবেশনে সবগুলো কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়নি। কোনও কোনও সংসদের কমিটি গঠনে প্রায় ১ বছর লেগে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
কোভিডকালে বিশেষ ব্যবস্থা
এবারের ২৫টি সংসদ অধিবেশনের মধ্যে প্রায় অর্ধেক অনুষ্ঠিত হয়েছে করোনাকালে। এর মধ্যে কয়েকটি অধিবেশন হয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সময়কালে। এ সময়ে খুবই সতর্কতার সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশন চলে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বেশ কয়েকটি সংসদ অধিবেশনে গণমাধ্যম প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়নি। সুযোগ ছিলো না দর্শক হিসেবে কাউকে সংসদে প্রবেশ করার।
সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরে মধ্যে আংশিক সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। এমপিদেরও ঢুকতে দেওয়া হয়েছে রোস্টার করে। সবগুলো অধিবেশনে প্রবেশের আগে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিল পাস
চলতি একাদশ সংসদে মোট ১৬৫টি বিল পাস করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া ৯দিনের অধিবেশনে ২৫টি বিল পাস হয়েছে। শেষ দিনেই পাস হয়েছে ৭টি বিল। এজন্য এ দিন সকাল-বিকাল দুই দফায় সংসদের বৈঠক হয়েছে। এর আগে দশম সংসদের একটি অধিবেশনে সর্বোচ্চ ১৯টি বিল পাস হয়েছিল। এর আগে সেটাই ছিলো রেকর্ড।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিল পাস হয়েছে নবম সংসদে। ওই সংসদে মোট পাস হয়েছিল ২৭১টি বিল। এছাড়া দশম সংসদে ১৯৩টি বিল, সপ্তম সংসদে ১৯১টি বিল, পঞ্চম সংসদে ১৭৩টি বিল পাস হয়। অপরদিকে একটি মাত্র বিল পাস হয় ৬ষ্ঠ সংসদে। ওই সংসদেই পাস হয় তত্ত্বাধয়াক সরকার বিল।
সংসদে উপস্থিতি
চলতি সংসদে সব থেকে বেশি দিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৭২ কার্যদিবসের সংসদের মধ্যে শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন ২৫৩ দিন। অবশ্য সংসদের সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর উপস্থিতি আরো কিছুটা বেশি। স্পিকার উপস্থিত ছিলেন ২৭১দিন। তিনি মাত্র একদিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন না।
বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ উপস্থিত ছিলেন ৫২দিন। অবশ্য অসুস্থতার কারণে তিনি দীর্ঘদিন থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এছাড়া অন্যদের মধ্যে সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরার উপস্থিতি ২৪৮দিন। অবশ্য রুবিনা জানিয়েছেন তার সংসদে একটি দিনও অনুপস্থিতি নেই। সংরক্ষিত আসনের এমপিদের নির্বাচন সংসদ অধিবেশন শুরুর কয়েকদিন পরে হওয়ার কারণে তার সেইদিনগুলোই কেবল অনুপস্থিতি রয়েছে।
সংসদে সব থেকে কম উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান। ২৪তম অধিবেশন পর্যন্ত ২৬৩ দিনের মধ্যে তার উপস্থিতি ছিলো ১৪দিন। চলতি অধিবেশনে তার উপস্থিতির তথ্য জানা যায়নি। অপরদিকে সরকারি দলের এমপিদের মধ্যে সব থেকে কম উপস্থিত ছিলেন তাহজীব আলম সিদ্দিকী। গত অধিবেশন পর্যন্ত তার উপস্থিতি ছিলো ১৯দিন।
এদিকে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সংসদে মোট উপস্থিত ছিলেন ৭৭দিন। তিনি দীর্ঘদিন কানাডায় অবস্থান করছেন। তারা অনুপস্থিতি ইতোমধ্যে টানা ৯০ কার্যদিবস অতিক্রম করায় স্পিকারের কাছ থেকে চিকিৎসাজনিত কারণে ছুটি নিয়েছেন।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন মোশাররফ। সেটা ছিল একাদশ জাতীয় সংসদের ১২তম অধিবেশন। বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের উপস্থিত ছিলেন ১৫০দিন। গত দুটি অধিবেশনে তিনি একদিনও উপস্থিত হননি।
অন্যান্য তথ্য
পৌনে ৫ বছর ধরে পরিচালিত চলতি সংসদের মোট কার্যদিবস ছিলো ২৭২ দিন। এবার অধিবেশনের সংখ্যায় রেকর্ড হলেও কার্যদিবস তুলনামুলকভাবে কিছুটা কম হয়েছে। কার্যদিবসের দিক থেকে সর্বোচ্চ রেকর্ড হচ্ছে নবম সংসদ। ওই সংসদের মোট কার্যদিবস ছিলো ৪১৮ দিন।
এছাড়া দশম সংসদ ৪১০ কার্যদিবস, ৭ম সংসদ ৩৮২ কার্যদিবস, ৫ম সংসদ ৪০০ কার্যদিবস চলেছে। সবচেয়ে কম ছিলো ৬ষ্ঠ সংসদ। ওই সংসদ ছিলো মাত্র ৪টি কার্যদিবস।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, কোভিডের কারণে অধিবেশনের সংখ্যা বেশি হয়েছে। তবে কার্যদিবস কম হয়েছে। কোভিডের কারণে অনেকগুলো অধিবেশনই ছিল সংক্ষিপ্ত। যার কারণে কার্যদিবসের সংখ্যা কম হয়েছে।
একাদশ সংসদে প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দেওয়ার জন্য মোট প্রশ্ন পাওয়া যায় এক হাজার ৩৩৬টি। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জবাব দিয়েছেন ৫৬৬টি প্রশ্নের। অন্যান্য মন্ত্রীদের জন্য প্রশ্ন পাওয়া যায় ৩০ হাজার ৬৪১টি। এর মধ্যে মন্ত্রীরা জবাব দিয়েছেন ১৭ হাজার ৭৬২টি প্রশ্নের।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর ২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি সরকার গঠন করে। ৩০ জানুয়ারি বসে সংসদের প্রথম অধিবেশন। সেই হিসেবে সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। এর আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে।
চলতি সংসদের মোট ৩১ জন সংসদ সদস্য মারা গেছেন। কোনও সংসদের মেয়াদে এত সংখ্যক রানিং এমপি মৃত্যুবরণের ঘটনা ঘটেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি সংসদে বার বার তুলেছেন। তিনি একাধিকবার সংসদে বলেছেন, প্রায় প্রতিটি অধিবেশনই আমাদের শুরু করতে হয়েছে শোকপ্রস্তাব গ্রহণের মধ্য দিয়ে।
এদিকে মৃত্যুবরণকারী ৩১ জন সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৮টি আসনে উপনির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নিয়ে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে আগামী ৫ নভেম্বর এবং পটুয়াখালী–১ আসনে আগামী ২৭ নভেম্বর উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
এই তিন আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একাদশ সংসদের সদস্য নির্বাচিত হলেও তাঁরা কোনো অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে না।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan